সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী



 তিন দেশের সরকারি ভাষা বাংলা


বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশসহ তিনটি দেশের সরকারি ভাষা বাংলা। অন্য দুটি দেশ হলো ভারত ও সিয়েরা লিওন। ভারতে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত ভাষা রয়েছে ২২টি। এর মধ্যে অন্যতম হলো বাংলা। ভারতে রাজ্যগুলো প্রয়োজনে হিন্দির পাশাপাশি নিজস্ব এক বা একাধিক দাপ্তরিক ভাষা গ্রহণ করতে পারে। 


পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা বাংলাকে সেই মর্যাদা দিয়েছে। এছাড়া বাংলা আসাম এবং আন্দামান-নিকোবর রাজ্যর সহ-দাপ্তরিক ভাষা। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ঝাড়খণ্ড রাজ্য বাংলাকে দ্বিতীয় দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করে। এ ছাড়া পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচি সিটি কর্পোরেশনের অন্যতম স্বীকৃত দ্বিতীয় ভাষা হচ্ছে বাংলা। বাংলা তৃতীয় যে দেশের ‘রাষ্ট্রীয় ভাষা’ হিসেবে মর্যাদা লাভ করেছে, সেই সিয়েরা লিওনের সঙ্গে এ ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশস্থলের ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক কোনো যোগাযোগ নেই। 


২০০২ সালে সিয়েরা লিওনের প্রেসিডেন্ট ড. আহমেদ তেজান কাব্বা বাংলা ভাষাকে সিয়েরা লিওনের সরকারি ভাষা (সম্মানসূচক) হিসেবে ঘোষণা দেন।



বঙ্গবন্ধু মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র


পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে রাখা বিষুবরেখা, কর্কটক্রান্তি ও মকরক্রান্তি রেখার সঙ্গে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত চারটি দ্রাঘিমা রেখার সংযোগস্থল মোট ১২টি। মহাকাশ পর্যবেক্ষণের জন্য এ স্থানগুলো আদর্শ। 


১২টি বিন্দুর একটি পড়েছে বাংলাদেশের ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গারদিয়া গ্রামে। ভৌগোলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানেই নির্মিত হচ্ছে দেশের প্রথম মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাকাশ অবলোকন কেন্দ্র'। বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (SPARRSO)-এর সহায়তায় এ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে। 


কর্কটক্রান্তি রেখা ও ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমার সংযোগস্থল হওয়ায় ফরিদপুরের ভাঙ্গায় প্রকল্পটি নির্মাণের প্রস্তাব দেন কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল। ১০০ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট এ কেন্দ্র থেকে টেলিস্কোপের মাধ্যমে মহাকাশ অবলোকন করা যাবে। এতে দেশ-বিদেশের বিজ্ঞান শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অ্যাস্ট্রোনমি বা অ্যাস্ট্রোফিজিক্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারীরা এসে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে পারবে।

Post a Comment

0 Comments

Close Menu